সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
তিনি বলেন, ইসলামের শিক্ষা তো তা নয়। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.) শান্তির কথা প্রচার করেছেন। শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। কোরআন হাদীসের কেথাও জঙ্গি পন্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়নি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদদ প্রতিরোধে ইসলামের আহবান’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. আমিনুল ইসলাম আমিন এসব কথা বলেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের তুখোঁড় এই বক্তা বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠি ইহুদি চক্রের মদদে ইসলামের লেবাসে ইসলামকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা ইসলামের শত্রু। বিশেষ করে, আলেম সমাজকে ঘরে ঘরে ইসলামের মর্মবানী পৌঁছিয়ে দিতে হবে। জঙ্গিবাদ বিরুধী গণসচেতনতা তৈরী করতে হবে। আলমে সমাজই এ কাজ বেশী পারবে।আলেমদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আলেমরা নায়েবে রাসুল। আপনারাই সমাজের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। মানুষ আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষকে হক কথা বলুন। ‘হক্কুল এবাদ’ সম্পর্কে জুমার খোতবায় আলোচনা করুন।মানুষ ‘হক্কুল এবাদ’ সম্পর্কে অবগত হলে পুরো পৃথিবীটাই ‘স্বর্গ’ হয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
১৩ জুলাই বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক খাজা আহমদ মিয়াজী।
ফিল্ড সুপারভাইজার সাইফুদ্দিন খালেদের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইফার মুফাসসির ড. মাওলানা মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর প্রশিক্ষক মাওলানা মো. জাকির হোসাইন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতির জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী, কক্সবাজার ইমাম মোয়াজ্জেন কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা সালাহউদ্দিন মো. তারেক, জেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম সরকার, কওমী ও আলীয়া উলামা মাশায়েখ সমিতির সভাপতি মাওলানা মো. রফিউদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক রেজাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, ইফা’র কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক মো.সরওয়ার আকবর, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা জামাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মো. ইউনুছ, জেলা ওলামালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা নুরুল আবছার, মাওলানা ফোরকান উল্লাহ প্রমুখ। সভায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা থেকে তিনশতাধিক ইমাম, খতিব ও শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগামী ‘জুমাবারের খুতবা’ সরবরাহ করা হয়।
পাঠকের মতামত: